১৪ জুন ২০২৪, ১:০৬ পিএম
বিশ্বকাপ ও এর আগে ব্যাট হাতে যে ফর্ম ছিল, তাতে চাপটা ক্রমশই বাড়ছিল। বল হাতেও ছিলেন না সেরা ছন্দে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান নেমেছিলেন ব্যাট করতে, তখন দলও ছিল চাপে। তবে বড় খেলোয়াড়রা তো এমন মঞ্চেই জ্বলে ওঠেন। সাকিবও তাই করেছেন, খেলেছেন ম্যাচ-জেতানো এক ইনিংস। এসব ছাপিয়ে অবশ্য ম্যাচ সেরা এই তারকা অলরাউন্ডার তৃপ্ত বাংলাদেশের জয়ে অবদান রেখে।
ক্রিজে গিয়েছিলেন ২৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর। ইনিংসের শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেন আগের দুই ম্যাচে এক ডিজিটে আউট হওয়া সাকিব। সময় যত গেছে, রানের গতিও বেড়েছে। ৩৮ বলে ফিফটি করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৬ হলে ৬৪ রানে, যা বাংলাদেশকে এনে দেয় ১৫৯ রানে লড়াকু স্কোর। আর সেটাই পরে এনে দেয় বড় জয়।
আরও পড়ুন: সাকিবের ফর্মে ফেরা স্রেফ সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছে বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে
ম্যাচের পর সাকিব বলেছেন, ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকাটাই ছিল তার ও দলের চাওয়া। “প্রথম চারজনের একজনের পুরো ইনিংস জুড়ে ব্যাট করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ব্যাট হাতে যেভাবে অবদান রেখেছি তাতে আমি খুশি। ইনিংসের শুরুতে এটা সহজ উইকেট ছিল না। আমরা নিজেদের স্নায়ু ধরে রেখেছি, একটা ভালো স্কোর দাঁড় করিয়েছি। আমি বলব না এটা একটা ম্যাচ জেতার মতো স্কোর ছিল, তবে এটা চ্যালেঞ্জিং স্লোর ছিল।”
তানজিদ হাসান তামিমের ৩৫ রানে শুরুটা বেশ ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। মাঝে অবশ্য একটু রানের গতি কমে গিয়েছিল। এরপর শেষ পাঁচ ওভারে পঞ্চাশের বেশি রানে বোর্ডে জমা জয় শক্ত স্কোর৷ বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ২৫ রানে।
সাকিব মনে করেন, উইকেটের আচরণ না বুঝে আগ্রাসী হলে তা বুমেরাং হতেও পারত। “গত ৪-৫ বছরে এখানে খুব কম আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে, তাই আমরা ভালো স্কোর করতে পারিনি। সেজন্যই আমাদের উইকেট হাতে রাখতে হয়েছিল এবং দেখতে হয়েছিল যে আমরা সম্ভবত ১৪-১৫ ওভারে কোথায় থাকি। আর এরপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আমরা কতদূর যেতে পারি। বিশ্বকাপের একটা ম্যাচে ১৬০ রান সবসময়ই কঠিন এবং এটা প্রমাণিত।”
রান তাড়ায় একটা সময়ে বাংলাদেশকে ভালোই চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। ১৪ ওভার শেষে রান ছিল ৩ উইকেটে ১০৪। এরপরই লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের জোড়া আঘাতে মোড ঘুরে দায় ম্যাচের৷ সাথে মুস্তাফিজু রহমানের অসাধারণ এক স্পেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ডাচরা। রিশাদ নেন ৩ উইকেট। আর ‘দ্য ফিজ’ চার ওভারে ১ উইকেট দেন স্রেফ ১২ রান খরচায়।
এই দুজনের বাড়তি প্রশংসাই তাই করেছেন সাকিব। “বোলাররা নিখুঁতভাবে তাদের কাজটা করেছে, বিশেষ করে ফিজ ও রিশাদ। নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে ম্যাচটা কেড়ে নিয়েছে এই দুজনই। তাদের সুযোগ ছিল, ১২তম ওভারে তারা তিন উইকেটে ৮০ বা ৯০ রানে ছিল। সব বোলারদেরই কৃতিত্ব দেওয়া উচিত, তারা যেভাবে বোলিং করেছে, তারা (চাপের মুখে) স্নায়ু ধরে রেখেছে।”