৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:২০ পিএম
নিউক্যাসলের স্টেডিয়াম সেন্ট জেমস পার্কে রাতে যে ম্যাচ হলো, সেটা এক কথায় বললে–পয়সা উসুল। সেটা নিয়ে গুটিকতক নিউক্যাসল ভক্ত আপত্তি জানালেও খুব একটা দ্বিমত পোষণ করবেন না। ছয় গোলের থ্রিলারে একদম শেষ মুহূর্তে ফাবিয়েন শেরের একটা আচমকা গোল থেকে উড়তে থাকা স্লটের লিভারপুলের কাছ থেকে একটা পয়েন্ট বাগিয়ে নেওয়া গেছে–সেটা লিগ টেবিলের দশম স্থানে বসে থাকা নিউক্যাসলের জন্য স্বস্তির বটে। তবে একটা বিষয়ে সবাই একমত হতে বাধ্য, যে নিউক্যাসল-লিভারপুলের ৩-৩ গোলে ড্র হওয়ার ম্যাচের রাতের ‘সুপারস্টার’ ছিলেন মোহামেদ সালাহই। যিনি এই মৌসুমেও প্রতি ম্যাচের পারফরম্যান্সে তীব্রভাবে দেখিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন, কেন প্রিমিয়ার লিগের অবিসংবাদিত ‘রাজা’ এই মিশরের ৩২ বছর বয়সী তারকা।
বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধটা পুরোটাই ছিল একটা ‘মোহামেদ সালাহ ম্যাটিনি শো’। লিভারপুলের সমতায় ফেরা ম্যাচে কার্টিস জোনসের গোলে বড় অবদান তার বাঁ পায়ের হালকা এক ফ্লিক থ্রু বল। দ্বিতীয় আর তৃতীয় গোল করে নিজেকে নিয়ে গেছেন আরেক উচ্চতায়। বিশেষ করে তৃতীয় গোলটার কথা আলাদা করে বলতেই হয়। মিনিটখানেক আগেই ক্রসবারে লেগে ফিরে এসেছিল তার নেওয়া শট। এরপর আলেক্সান্ডার আরনল্ডের পা থেকে পাওয়া বলটা তিন ডিফেন্ডারের মাঝে দাঁড়িয়ে রিসিভ করলেন ডান পায়ে। কোমরের হালকা মোচড়ে বাম পায়ের সঙ্গে সংযোগ ঘটালেন নিক পোপের দিকে না তাকিয়েই। এদিকে ডিফেন্ডাররা আরো কাছে চলে এসেছেন। কিন্তু তাতে কী! চোখের আর গোলপোস্টের সংযোগ একই লাইনে না থাকলেও মোহামেদ সালাহ’র ‘নো লুক ফিনিশ’ আরেকবার মুগ্ধতা ছড়িয়েছে সেন্ট জেমস পার্কে।
আরও পড়ুন
রুনির রেকর্ডে ভাগ বসালেন সালাহ |
এই ম্যাচে দুটো গোল আর এক অ্যাসিস্ট– সব কম্পিটিশনে ডিসেম্বরের মাঝেই গোল করে ফেলেছেন ১৫ টা। প্রিমিয়ার লিগে ১৩ গোল করে সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের শীর্ষস্থানে বসেছেন হলান্ডকে টপকে। নামের পাশে আছে ১২ টা অ্যাসিস্ট, সেটাও সব প্রতিযোগিতা মেলালে। সঙ্গে রেকর্ডবুকে আরেকবার নিজের নাম লিখিয়েছেন ‘দ্য ইজিপশিয়ান কিং অব প্রিমিয়ার লিগ’। একই ম্যাচে গোল এবং অ্যাসিস্ট করার সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি গোল কন্ট্রিবিউশন এর আগে ছিল ওয়েইন রুনির, সবমিলিয়ে ৩৬ টা আলাদা আলাদা ম্যাচে গোল এবং অ্যাসিস্ট করেছিলেন সাবেক এভারটন ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা। সে রেকর্ডটা ভেঙে সালাহ এখন ৩৭ টি ম্যাচে গোল এবং অ্যাসিস্ট–দুটোই করেছেন।
একই ম্যাচে স্কোর এবং অ্যাসিস্টের রেকর্ড
মোহামেদ সালাহ | ৩৭ ম্যাচ |
ওয়েইন রুনি | ৩৬ ম্যাচ |
থিয়েরি অঁরি | ৩২ ম্যাচ |
অ্যালান শিয়েরার | ৩১ ম্যাচ |
অ্যান্ডি কোল | ২৮ ম্যাচ |
প্রিমিয়ার লিগে গোল আর অ্যাসিস্ট মিলিয়ে সালাহর গোল কন্ট্রিবিউশন ২৪৭, যা এই লিগে অষ্টম সর্বোচ্চ। আর তিনটি গোল, অ্যাসিস্ট পেলেই ছাড়িয়ে যাবেন আড়াইশর ঘর।
লিভারপুলের সঙ্গে মোহামেদ সালাহ’র চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী বছরের জুনে। ক্লাবের সঙ্গে সালাহ’র নতুন চুক্তির সময়সীমা আর বেতন নিয়ে একটা দেনদরবার চলছে, যে ব্যাপারের দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টা একেবারেই পছন্দ হচ্ছে না ৩২ বছর বয়সী তারকার। যদিও সাউদাম্পটনের সঙ্গে ম্যাচের পর সালাহ জানিয়েছেন, তার ইচ্ছা লিভারপুলেই থেকে যাওয়ার এবং প্রয়োজনে এক বছরের জন্য নতুন চুক্তি করতেও রাজি তিনি।
আরও পড়ুন
স্লটের আগমনে লিভারপুলে ইতি ঘটছে সালাহ অধ্যায়ের? |
সালাহর কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্সের পর দলের কোচ আর্নে স্লট প্রশংসায় ভাসিয়েছেন প্রেস কনফারেন্সে। সেই সঙ্গে অল রেড ভক্তদের আশা দিয়েছেন সালাহ’র ভবিষ্যতের ব্যাপারে, “যখনই আমাদের ওকে [সালাহ] প্রয়োজন হয়, সে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলটা এনে দেয়। আমাদের প্রত্যাশা সে আরো অনেকদিন এই দলে কাজটা করে যেতে পারবে। গোল ছাড়াও সে দলের জন্য স্পেশাল কিছু করে দেখিয়েছে, বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে।”
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:৩৪ পিএম
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ এম
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৪৭ পিএম
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:১২ পিএম
পয়েন্ট টেবিলে দুই দলের লড়াইটা জমেছে বেশ। পয়েন্ট খোয়ালেই পিছিয়ে পড়বে এমন সমীকরণে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে দুই দলই। বছরের শেষে ম্যাচে আবাহনী ২-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশকে, অন্যদিকে ফকিরেরপুলকে নিয়ে গোলের খেলায় মেতেছিল রহমতগঞ্জ। ৬-১ গোলের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে পুরান ঢাকার ক্লাবটি।
তাতে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বর জায়গাটা ধরে রেখেছে রহমতগঞ্জ। পাঁচ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১২। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে আবাহনী আছে তিনে। অন্যদিকে পাঁচ ম্যাচের সব কয়টি জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডান আছে সবার শীর্ষে।
গাজীপুরে প্রথমার্ধে রহমতগঞ্জের সঙ্গে সমান তালে লড়ে গেছে ফকিরেরপুল। ম্যাচের ২৫ মিনিটে স্যামুয়েল বোয়েটাংয়ের দারুণ এক গোলে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। এক মিনিটে বাদেই রহমতগঞ্জ গোলকিপার মামুন আলিফের ভুলে পেনাল্টি পায় ফকিরেরপুল। স্পট কিক থেকে ফকিরেরপুলকে ম্যাচে ফেরান আকবির তুরায়েব। তাতে সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে রহমতগঞ্জ মাতে গোল উৎসবে। যার শুরুটা ৫৪ মিনিটে ফকিরেরপুল ডিফেন্ডার সাব্বির হোসেনের আত্মঘাতী গোলে। ৬২ মিনিটে তাজ উদ্দিনের গোলে ব্যবধান বাড়ায় রহমতগঞ্জ। মিনিট চারেক বাদে স্কোরশিটে নাম তোলেন রহমতগঞ্জ স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন। ৭২ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পান বোয়েটাং। অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান ৬-১ গোলে নিয়ে যান মোহাম্মেদ রাজন হাওলাদার।
অন্যদিকে কুমিল্লায় পুলিশ এফসির বিপক্ষে হেসে খেলেই জয় পেয়েছে আবাহনী। দুই অর্ধে দুই গোলে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আকাশী-নীলরা। ম্যাচের শুরুটা ম্যাড়ম্যাড়ে হলেও ২৩ মিনিটে রবিউলের পাস থেকে অসাধারণ এক ফিনিশিংয়ে আবাহনীকে এগিয়ে দেন আরমান ফয়সাল আকাশ। এরপর লম্বা সময় দুই দল একই তালে খেলে গেলেও গোলের দেখা পায়নি কেউ।
ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে শাহরিয়ার ইমন খুঁজে নেন জাল। তাতে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
সপ্তাহ খানেক আগেই ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন বুকায়ো সাকা। হ্যামেস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ায় ইংলিশ ফরোয়ার্ডকে যেতে হয়েছে অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে। অস্ত্রোপচার ঠিকঠাকভাবে হলেও সাকা সেরে উঠতে সময় লাগতে পারে দুই মাসেরও বেশি।
শুক্রবার ইপসউইচ টাউনকে ১-০ গোলে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা। পুনর্বাসন পক্রিয়ায় সময় লাগবে বলেই ধারণা করছেন তিনি। দলের গুরুত্বপূর্ণ এই ফুটবলারের ফিরতে কত দিন সময় লাগবে তা এখনো নিশ্চিত নন আর্তেতা। তবে সময়টা যে দুই মাসের বেশি সেই ইঙ্গিতটা দিয়ে রেখেছেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
“সে একটা পক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সব কিছু ঠিকঠাকভাবেই হয়েছে, তবে কপাল খারাপ তাকে বেশ কয়েক সপ্তাহে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। আমার মনে হচ্ছে সময়টা দুই মাসেরও বেশি। দেখা যাক সামনে কী হয়।”
চলতি মৌসুমে আর্সেনালের হয়ে দারুণ শুরু করেছেন সাকা। সব মিলিয়ে ২৪ ম্যাচ খেলে ৯ গোলের পাশাপাশি করেছেন ১৩ অ্যাসিস্ট। তার মধ্যেই চোটের হানায় ছিটকে গেছেন ২৩ বছর বয়সী এই তারকা।
অবশ্য সাকাকে ছাড়াই ইপসউইচ টাউনের সঙ্গে জয় পেয়েছে গানাররা। সেই সাথে পয়েন্ট টেবিলেও চেলসিকে টপকে দুই নম্বরে উঠে এসেছে মিকেল আর্তেতার দল।
গেল কয়েক বছর থেকেই ব্যালন ডি’অরে ভোট দেওয়া কিংবা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত রাখছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। শুক্রবার তো ব্যালন ডি’অর নিয়ে বোমাই ফাটালেন পর্তুগিজ তারকা। বিশেষ করে চলতি মৌসুমে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ব্যালন ডি’অর না দেওয়াটাকে অন্যায় হিসেবেই দেখছেন আল নাসর তারকা।
শুক্রবার দুবাইতে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে অংশ নেন রোনালদো। জেতেন মিডিলিস্টের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার। অনুষ্ঠান শুরুর আগে অবশ্য রোনালদো বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেছেন। যেখানে তিনি সমালোচনা করেছেন চলতি মৌসুমে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ব্যালন ডি’অর না পাওয়া নিয়ে।
“আমার মতে এবারের ব্যালন ডি’অরটা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের জেতা উচিত ছিল। তার সাথে অন্যায় হয়েছে। আমি এটা সবার সামনেই বলছি, তারা রদ্রিকে ব্যালন ডি’অর দিয়েছে! সেও এটার প্রাপ্য ছিল, তবে পারফরম্যান্স বিবেচনায় জেতা উচিত ছিল ভিনিসিয়ুসেরই।”
ব্যালন ডি’অর না জিতলেও কয়েক দিন আগেই ফিফা দ্য বেস্টের পুরস্কারটা জিতেছিলেন ভিনিসিয়ুস। সেই ধারা চলেছে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডেও। দুবাইতে ভিনিসিয়ুসের হাতে উঠেছে জোড়া অ্যাওয়ার্ড। হয়েছেন মৌসুমের সেরা ফরোয়ার্ড সেই সাথে গেল মৌসুমের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটাও গেছে তার হাতেই। তাতে রোনালদোর দাবির পক্ষেই সায় দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা,
“যদি রোনালদো মনে করে আমি বিশ্বসেরা, তাহলে আমিই বিশ্বসেরা।”
এরপর অবশ্য এমন অর্জনে ভরা মৌসুমের জন্য দলের সবাইকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভিনিসিয়ুস,
“সব মিলিয়ে গত মৌসুমে আমি রিয়ালের হয়ে পাঁচটি শিরোপা জিতেছি। এই ধরনের ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ড জানান দিচ্ছে যে সঠিক পথেই আছি আমি। রিয়াল মাদ্রিদ, ফ্লামেঙ্গো ও ব্রাজিল জাতীয় দলকে ধন্যবাদ দিতে চাই আমার স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করার জন্য। সেই সাথে আমার সতীর্থ ও কোচদেরও।”
মৌসুমের শুরুটা দুরন্ত হলেও বছর শেষে একটা ছন্দপতন--মাঠের পারফরম্যান্সে নাজেহাল অবস্থা বার্সেলোনার। তারমধ্যে পুরোনো ঝামেলাই বেঁধেছে নতুন ঝামেলা। মৌসুমের শুরুতে দানি ওলমোকে রেজিস্ট্রেশন করা নিয়ে ভালো জটিলতায় পড়েছিল ব্লাউগ্রানারা, আন্দ্রেয়াস ক্রিশ্চেনসেনের ইনজুরির কারণে লা লিগার নিয়মের সুবিধা নিয়ে সে দফায় স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে রেজিস্ট্রেশন করানো গিয়েছিল। কিন্তু এ বেলায় আর্থিক জটিলতার দিকটি দেখিয়ে ওলমোর রেজিস্ট্রেশনে বাধ সেধেছে স্প্যানিশ আদালাত।
গেল গ্রীষ্মে আরবি লাইপজিগ থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেন ওলমো। যোগ দেওয়ার পর থেকেই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিপাকে আছে বার্সেলোনা। লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী নতুন বছরে বার্সেলোনার স্কোয়াডে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে দানি ওলমোকে। কিন্তু বার্সেলোনা দানি ওলমোকে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য তাদের পক্ষে যেসব আর্থিক নথি দেখিয়েছিল, আদালতে রায়টা গেছে তাদের বিপক্ষে। তাতে ওলমোর রেজিস্ট্রেশন নিয়ে নতুন বিড়ম্বনায় পড়েছে কাতালান ক্লাবটি।
আরও পড়ুন
ওলমো আর গাভিকে ফিরে পাচ্ছে বার্সেলোনা |
তখন আন্দ্রেস ক্রিশ্চেনসেনের চোটের কারণে ওলমোকে দলের সাথে যুক্ত করার সুযোগ মেলে বার্সেলোনার। তবে এই ডিফেন্ডার চোট কাটিয়ে ফিরেছেন দলে। তাতে ওলমোকে রেজিস্ট্রেশন করতে বার্সাকে খুঁজে বের করতে হবে নতুন উপায়। আয়-ব্যয়ের হিসাবে আনতে হবে সামঞ্জস্য। সেই সাথে বেতনের হিসাবটাও মিলাতে হবে বার্সেলোনা বোর্ডকে।
অবশ্য আদালত ওলমোকে দলের সাথে যুক্ত করার অনুমতি না দিলেও সহজে হাল ছাড়ছে না বার্সেলোনা। সোমবারের মধ্যে নতুন করে আবারও আইনি লড়াইয়ে নামবে বলেই জানাচ্ছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্দো দেপর্তিভো।
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওলমোকে দলের সাথে যুক্ত না করতে পারলে বিপাকে পড়বে বার্সেলোনা। একই রিপোর্টে দেপোর্তিভো বলছে তখন ফ্রি এজেন্ট হিসেবে অন্য ক্লাবে যোগ দিতে পারেন ওলমো।
আরও পড়ুন
বার্সেলোনার লম্বা চোটের তালিকায় যুক্ত হলেন ছন্দে থাকা ওলমো |
যোগ দেওয়ার পর থেকে বার্সেলোনার জার্সিতে এখন পর্যন্ত ওলমো ম্যাচ খেলেছেন ১৫ টি। করেছেন ৬ গোলের পাশাপাশি ১ অ্যাসিস্ট।
গেল কিছু দিন থেকেই গুঞ্জনটা ভাসছিল। রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নাম বদলে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের নামে নামকরণের কথা শোনা যাচ্ছিল বেশ। যদিও সেটার অনুমোদন দেননি খোদ পেরেজই। তবে এবার শোনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা। স্প্যানিশ গণমাধ্যম ‘মার্কা’ দাবি করছে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নাম বদলের জন্য রিয়াল বোর্ড থেকে গ্রিন সিগিন্যাল মিলেছে। গণমাধ্যমটির দাবি, নুতুন নাম হতে যাচ্ছে ‘দ্য বার্নাব্যু’।
মার্কা বলছে মূলত মার্কিটিংয়ের কথা চিন্তা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষ রিয়াল বোর্ড।
বছর খানেক আগেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে নতুন রূপে সাজিয়েছে রিয়াল। মাঠের নানা সুবিধা বাড়ানো সহ বৃদ্ধি করা হয়েছে দর্শক ধারণ ক্ষমতা। এছাড়া পরিবর্তন করা হয়েছে মাঠের টার্ফ এবং নানা ধরণের ইভেন্ট আয়োজনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যেখান থেকে বেশ বড় অঙ্কের অর্থ আয় করতে পারছে রিয়াল।
আরও পড়ুন
সবচেয়ে বেশি খেলেছেন কুন্দে, তালিকায় আছেন রিয়াল-লিভারপুল ফুটবলারও |
আয় আরও বাড়াতেই স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করার দিকে ঝুঁকছে রিয়াল। অবশ্য এমনটা নতুন না। রিয়ালের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদ চলতি মৌসুমে রিয়াদ এয়ারলাইন্সের সাথে নয় বছরের চুক্তি করেছে। ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানো থেকে স্টেডিয়ামের নাম দেওয়া হয়েছে রিয়াদ এয়ার মেট্রোপলিটানো। যেখান থেকে বিশাল পরিমাণ অর্থই আয় করেছে তারা। রিয়ালও সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাচ্ছে।
১৯৫৫ সালে রিয়ালের ঘরের মাঠে নাম দেওয়া হয় সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। রিয়ালের তখনকার প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ফুটবলার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নামেই নামকরণ হয় এই স্টেডিয়ামটির। যিনি ৩৪ বছর দায়িত্ব সামলেছেন রিয়ালের প্রেসিডেন্টের। নতুন নামকরণ হলেও অবশ্য থাকবে তার নাম, সেই সাথে যুক্ত হতে পারে কোনো একটা স্পন্সর কোম্পানির নাম।