এমন লজ্জা সান্তিয়াগো বার্নাব্যু-তে শেষ কবে পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ তা মনে করাই দুষ্কর। ঘরের মাঠে রিয়ালকে নিয়ে তারুণ্য নির্ভর বার্সেলোনা রীতিমত ছেলে-খেলাই করেছে। উড়িয়ে দিয়েছে ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। তাতে রিয়ালের টানা ৪২ ম্যাচ ধরে লা লিগায় অপরাজিত থাকার রেকর্ডটাও ভেঙেছে হান্সি ফ্লিকের দল। সে সাথে অক্ষত রেখেছে নিজেদের সর্বোচ্চ ৪৩ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড।
এদিন দুই অর্ধে দেখা মিলেছে দুই দলের দাপট। প্রথমার্ধে রিয়াল দাপট দেখালেও পায়নি গোলের দেখা, অন্যদিকে বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধে সবগুলো সুযোগই লুফে নিয়েছে। সেই সাথে বার্নাব্যু-তে রিয়ালকে দিয়েছে অস্বস্তিকর এক অভিজ্ঞতাই।
আরও পড়ুন
রিয়ালের রেকর্ড নাকি বার্সার চমক? |
ম্যাচ শুরুর আগেই এদিন আলোচনায় ছিল বার্সেলোনার হাই লাইন ডিফেন্স। রিয়ালের সাথে সেটা কতটা কার্যকর হয় তা নিয়ে ছিল শঙ্কা। তবে এমবাপে, ভিনিসিয়ুসদের বারবার অফ সাইডের ফাঁদে ফেলে ফ্লিকের শিষ্যরা প্রমাণ করেছেন এই ট্যাকটিক্সে তাদের পক্ষে সম্ভব সফল হওয়া। সব মিলিয়ে ম্যাচে রিয়ালকে ১২ বার অফসাইডে ফেলেছে কুবরাসি, ইনিগো মার্তিনেজরা।
ম্যাচের ৫৮ শতাংশ বলই ছিল রিয়ালের দখলে। এক্সপেক্টেড গোল রেশিও কিংবা অন টার্গেট শট সব কিছুতেই এগিয়ে ছিল কার্লো আনচেলত্তির দল। ৭ অন টার্গেট শট নিয়েও গোলের খাতা খুলতে পারেনি লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। একের পর এক আক্রমণে তারা বারবারই পরীক্ষা নিয়েছে বার্সেলোনা রক্ষণের। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের আটকে যেতে হয়েছে বার্সার হাই লাইন ডিফেন্সের সামনে। প্রথম ৪৫ মিনিটে এমবাপে, ভিনিসিয়ুসদের ৯ বার অফ সাইডের কাটায় ফেলেছে হান্সি ফ্লিকের দল। যেখানে বাতিল হয়েছে ৩০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের করা দারুণ গোলও।
আরও পড়ুন
মেসিদের শহরে লা লিগার ম্যাচ খেলবে বার্সা? |
বল দখল, কিংবা সুযোগ তৈরিতে এগিয়েছিল ছিল রিয়াল। তবে এর মাঝেও গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল বার্সেলোনা। লামিন ইয়ামাল, রাফিনিয়াদের দুর্বল ফিনিশিংয়ের গোল পাওয়া হয়নি কাতালানদের। অন্যদিকে রিয়ালের হয়ে বেশ কিছু সহজ সুযোগ মিস করেন এমবাপে, ভিনিসিয়ুস ও বেলিংহাম। তাতে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যতে।
বিরতি থেকে ফিরেই বদলে যায় বার্সেলোনা। বাড়ায় আক্রমণের ধার। তাতে সফল্য মিলতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি বার্সাকে। ৫৪ মিনিটে কাসাদোর দারুণ এক পাস থেকে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেভানদফস্কি। মিনিট দুয়েক বাদে বালদের করা ক্রস থেকে লাফিয়ে উঠে হেডে আবারও বল জালে জড়ান পোলিশ স্ট্রাইকার।
দুই মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল হজম করে আক্রমণের ধার বাড়ায় রিয়াল। ৬৪ মিনিটে মদ্রিচের পাস থেকে সহজ সুযোগ হাতছেড়া করেন এমবাপে। ৬৬ মিনিটে এমবাপে গোলের দেখা পেলেও সেটা আবারও কাঁটা পড়ে অফ সাইডে। এর মিনিট দুয়েক বাদে দুটি সহজ সুযোগ মিস করে বার্সেলোনার লিড বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন জোড়া গোল করা লেভানদফস্কি।
আরও পড়ুন
বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগে শাস্তির কবলে বার্সা সমর্থকরা |
অবশ্য লেভানদফস্কি সুযোগ মিস করলেও লামিন ইয়ামাল ঠিকই ৭৭ মিনিটে জাল খুঁজে নিয়েছেন। ৮৪ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন উড়ন্ত ফর্মে থাকা রাফিনিয়া। তাতে বার্নাব্যু থেকে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে রিয়ালের সাথে ব্যবধানটা আরও বাড়িয়ে নিয়েছে বার্সেলোনা। ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩০, সমান ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ২৪।
ইউয়েফা নেশনস লিগে গ্রুপ ‘বি’-তে ইংল্যান্ডকে নভেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে খেলতে হবে দুটি ম্যাচ। দায়িত্ব ছাড়ার আগে অন্তর্বর্তী কোচ লি কারসলির শেষ অ্যাসাইনমেন্ট গ্রিস আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি ম্যাচ খেলার আগে ভিন্ন এক সংকটের মুখে থ্রি লায়ন্সরা।
আরও পড়ুন
অভিষেকের প্রথম বছরেই ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা পালমার |
ইংল্যান্ড দলে ডাক পেলেও নাম এবার জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাচ্ছে না বুকায়ো সাকা, কোল পালমারদের মতো ফুটবলারদের। কারণ একটাই, চোট। একই সঙ্গে চোটের শঙ্কা থাকার কারণে লেভি কলউইল, ডেক্লান রাইসও থাকছেন না এবার। শেষ মুহূর্তে নাম সরিয়ে নিয়েছেন ফিল ফোডেনও। জ্যাক গ্রিলিশও এখনো চোট থেকে সেরে ওঠেননি। আর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থাকায় থাকছেন না লিভারপুলের ট্রেন্ট-আলেক্সান্ডার আরনল্ড, আরো নেই অ্যারন র্যামসডেলও।
চেলসির বিপক্ষে ম্যাচের ৮১ মিনিটে পায়ের চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন সাকা। ভাঙা আঙুলের পাতা নিয়ে সেদিন চেলসির বিপক্ষে ম্যাচ খেললেও মিকেল আর্তেতা পরে জানিয়েছেন, রাইস-সাকার ইনজুরি তার কাছে ভালো ঠেকছে না। আর লিভারপুল-অ্যাস্টন ভিলার ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে প্রথমার্ধেই মাঠ ছেড়েছিলেন ট্রেন্ট-আলেক্সান্ডার। তবে তার চোট খুব গুরুতর নয়, সেরে উঠে ফিরতে পারেন চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষের ম্যাচের আগেই।
আরও পড়ুন
ইংল্যান্ডের তৃতীয় ‘বিদেশি’ কোচ হলেন টুখেল |
এই আট জনের বদলে দলে ডাক পেয়েছেন অ্যাস্টন ভিলার মরগান রজার্স, টিনো লিভরামেন্টো, জেমস ট্র্যাফোর্ড, জ্যারড বাওয়েন এবং জ্যারেড ব্রান্থওয়েইট।
দীর্ঘ পাঁচ মাস পর আবারও নিজেদের হোম ভেন্যুতে ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে আগামী ১৩ ও ১৬ নভেম্বর মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামছে মোরসালিন-রাকিবরা। রাজধানীর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা থেকে সরাসরি টি স্পোর্টস নেটওয়ার্কে দেখা যাবে ম্যাচগুলো। দুটি ম্যাচই শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
আর যারা মাঠে এসে ম্যাচ দেখতে চান, তাদের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে ব্যাংক থেকে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক ও সাউথ ইষ্ট ব্যাংক থেকে পাওয়া যাবে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ ম্যাচের টিকেট। স্টেডিয়াম থেকে টিকিট সংগ্রহের কোন সুযোগ থাকছে না।
আরও পড়ুন
তাবিথ আউয়ালের পরিকল্পনায় জামাল-তারিকের মতো প্রবাসী ফুটবলার |
সাধারণ দর্শকদের জন্য টিকিট রাখা হয়েছে তিন ক্যাটাগরির। ভিআইপি টিকিটের জন্য গুনতে হবে ৮০০ টাকা, ক্যাটাগরি-১ টিকিটের দাম ৫০০, আর সর্বনিম্ন ৩০০ টাকায় পাওয়া যাবে ক্যাটাগরি-২ টিকিট।
গত সোমবার বাংলাদেশে পৌঁছেছে এক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরে থাকা মালদ্বীপ। গেল বছরের অক্টোবরে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটাই ছিলো মালদ্বীপ জাতীয় দলের সবশেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছিলো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে।
আরও পড়ুন
বজ্রপাতে ম্যাচ চলাকালীন ফুটবলারের মৃত্যু |
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ড শুরু হচ্ছে আগামী বছরের মার্চ থেকে। বাছাইপর্বের আগে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ দুই দলের জন্যই শেষ প্রস্তুতি ম্যাচও এটি। এই ম্যাচের ফল প্রভাব ফেলবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে। মালদ্বীপের ফিফা র্যাঙ্কিং ১৬৩, বাংলাদেশের ১৮৫। এই দুই ম্যাচের জিতলে বাংলাদেশ র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে যেয়ে উঠে যেতে পারবে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তিন নম্বর পটে। বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে সেটা অর্জন করা।
১৩ ঘণ্টা আগে
১৬ ঘণ্টা আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
১৭ দিন আগে