৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:২৯ পিএম
ক্রিকেট বিশ্লেষকদের, এমনকি পাকিস্তানের কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার বেশ আগে থেকেই যা বলে আসছিলেন, ঠিক সেটাই হয়ত সঠিক হতে চলেছে। আর তা হল নিজেদের মাটিতে পুরো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতেই হবে পাকিস্তাব ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি)। ভারতের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলেই শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট আয়োজনে রাজি হতে যাচ্ছে তারা। তবে এটা মেনে নিতে বিনিময়ে নিজেদের বেলাতেও হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার শর্ত দিয়েছে পিসিবি, এমনটাই দাবি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর।
গত কয়েক মাস ধরেই আলোচনার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণের বিষয়টি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড শুরু থেকেই স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, পাকিস্তানে গিয়ে খেলবে না তারা এবং তাদের ম্যাচ যেন আয়োজন করা হয় দ্বিতীয় আরেকটি দেশে। পাকিস্তান লম্বা সময় পর্যন্ত এই প্রস্তাবে রাজি না হলেও বরফ নাকি অবশেষে গলতে শুরু করেছে। তবে এক্ষেত্রে পিসিবির দাবি, ভবিষ্যতে ভারতের মাটিতে হওয়া সব আইসিসি ইভেন্টে তাদের ম্যাচও যেন হাইব্রিড মডেলে রাখা হয়।
আরও পড়ুন
ভারতের অনাগ্রহ, নাছোড়বান্দা পাকিস্তান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছেই |
তিন পক্ষের মধ্যে আলোচনা এখনও চলমান রয়েছে। ইএসপিএনক্রিকইনফো তাদের এক প্রতিবেদনে লিখেছে যে, পিসিবি গত সপ্তাহে দুবাইতে আইসিসি এবং বিসিসিআইয়ের সাথে বৈঠকে তার প্রস্তাব পেশ করেছে। সেখানে তারা ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাইরে ভিন্ন একটি একটি ন্যায়সঙ্গত এবং দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিরও আহ্বান জানিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে ভারতে হতে যাওয়া বৈশ্বিক ইভেন্টগুলির সময় পাকিস্তানের ভিন্ন আরেকটি দেশে খেলার চুক্তির কথা।
তবে পিসিবি কি এটা স্রেফ আগামী তিন বছর নাকি ২০৩১ সাল পর্যন্ত চাচ্ছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
২০৩১ সালের ভারত ছেলেদের তিনটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে। যার মধ্যে রয়েছে ২০২৬ সালে শ্রীলঙ্কার সাথে যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং শ্রীলঙ্কার সাথে, ২০২৯ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং যৌথভাবে বাংলাদেশের সাথে ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। পাশাপাশি ২০২৫ সালে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপও হবে ভারতের। সহ-আয়োজক ইভেন্টগুলোর ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা না হলেও ঝামেলা হতে পারে ভারত ও পাকিস্তানের মুখোমুখি ম্যাচে, যেখানে ভারত কোনোভাবে চাইবে না আরেকটি দেশে খেলতে। আবার পাকিস্তানও এক ম্যাচের জন্য রাজি হবে না ভারতে যেতে।
আরও পড়ুন
‘ভারত-পাকিস্তান আছে বলেই আইসিসি টিকে আছে’ |
ভারত ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) পুরো বিষয়টি নিয়ে চুপচাপই আছে এখনও। তবে এটা ধারণা করা যায় যে, তারা তাদের টুর্নামেন্টের জন্য হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব গ্রহণ করতে রাজি নয়। আর এই কারণেই আইসিসি বোর্ড চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পিসিবি প্রস্তাবটি নিয়ে পুনরায় বৈঠক করবে এবং সেটা যাচাই করে দেখবে। আর পিসিবি এবং বিসিসিআই উভয়কেই তাদের নিজ নিজ সরকার থেকে এই সিদ্ধান্তটির অনুমোদন নিতে হবে। সেই বৈঠকের তারিখ হিসেবে আইসিসি অস্থায়ীভাবে আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করেছে আইসিসি।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:৫৩ এম
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৫৫ পিএম
মেলবোর্ন টেস্টে ২১ বছর ২১৬ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করলেন নিতিশ কুমার রেড্ডি। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার যখন ব্যাট করতে নামেন ভারত তখন ১৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে। অষ্টম উইকেটে ১২৭ রানের জুটি গড়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দরের সাথে। দিনশেষে অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৪ রানের জবাবে ভারত ৯ উইকেটে ৩৫৮, আর নিতিশ অপরাজিত ১০৫ রানে যা তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি! সেই সেঞ্চুরি মাঠে বসে দেখেছেন তাঁর বাবাও। ফাস্ট ক্লাস ক্রিকেটে এর আগে তিনি একবারই কেবল তিন অংকের দেখা পেয়েছিলেন।
ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে এটি সবচে কম বয়সে সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্যাটসম্যানের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে। ১৭৬ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় এই ইনিংস খেলেছেন নিতিশ। শেষ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ সিরাজ ২ রানে অপরাজিত আছেন। তাকে নিয়ে এই ইনিংসটি কোথায় শেষ করবেন নিতিশ সেটাই এখন দেখার।
দেখার রয়েছে সবচে কম বয়সে সেঞ্চুরি করা আগের সেই পাঁচ ব্যাটসম্যান কারা?
মাধাভ আপ্তে: ১৯৫৩ সালে মাধাভ আপ্তে ২০ বছর ১৩৭ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন। প্রতাপশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন আপ্তে। মূলত তাঁর এই ইনিংসে ভর করে ম্যাচ ড্র করেছিল ভারত।
আব্বাস আলী বেগ: ১৯৫৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ বছর ১২৬ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন আব্বাস আলী বেগ। তিনি আছেন তালিকার চতুর্থ স্থানে। সফররত ভারতের বিপক্ষে টেস্টটি ইংল্যান্ড জিতেছিল ১৭১ রানে। এটাকে এখনও কোন ভারতীয় তরুণের অন্যতম সেরা ইনিংস ধরা হয় বিদেশের মাটিতে।
কপিল দেব: ১৯৭৯ সালে মাত্র ২০ বছর ১৮ দিন বয়সে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন কপিল দেব। তাঁর অপরাজিত ১২৬ রানের ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৬৬ রানের ইনিংস গড়েছিল ভারত। ১২৪ বলে এই ইনিংসটি খেলেছিলেন তরুণ কপিল। ম্যাচটি ড্র হয়েছিল।
পৃথিবী শ: ২০১৮ সালে পৃথিবী শ’ যখন তাঁর প্রথম সেঞ্চুরিটি পান তখন বয়স ছিল ১৮ বছর ৩২৯ দিন। রাজকোটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন ১৩৪ রানের ইনিংস। মাত্র ৯৯ বলে হাঁকান শতক। ভারত ম্যাচ জেতে ইনিংস ও ২৭২ রানে।
শচিন টেন্ডুলকার: শুধু ভারত নয় সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ১৭ বছর ১০৭ দিন বয়সে। ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৯ রানের অপরাজিত ইনিংসটি শচিন খেলেছিলেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে। এই সেঞ্চুরি ভারতকে ম্যাচ বাঁচাতে সাহায্য করেছিল। শচীনের ৫১ টেস্ট সেঞ্চুরির প্রথমটি আজও কোন ভারতীয়র সবচে কম বয়সে পাওয়া প্রথম শতক। তাঁর অবসরের ১১ বছর পরও যা অমলিন।
তবে গ্রেটদের এই তালিকায় নিজের নাম উঠিয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেন নিতিশ কুমার রেড্ডি। দলের চতুর্থ পেসার হিসেবে প্রথম ইনিংসে ৭ ওভার বল করেও উইকেট পাননি তিনি, তবে ৮ নাম্বারে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি করে ঠিকই ভারতকে রেখেছেন ম্যাচের লড়াইয়ে!
২৭ ডিসেম্বর, ব্রিটিশ কাউন্সিল এর এক্সাম সেন্টার গ্লোবালএডের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির সাথে মউ সাইনিং সেরেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। অধ্যয়নরত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলোয়াড়দের পাশাপাশি ঘরোয়া পর্যায়ের খেলোয়াড়দের (পুরুষ ও নারী) জন্য গ্লোবালএড ১০০% স্কলারশিপে স্পোকেন ইংলিশ কোর্সে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করেছেন।উক্ত স্পোকেন ইংলিশ কোর্সের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের ইংরেজিতে যোগাযোগ দক্ষতা নিশ্চিত করবে গ্লোবালএড।
খেলোয়াড়দের জন্য বিশেষভাবে কোর্স ডিজাইন, কোর্স কম্পলিশন সার্টিফিকেট, ন্যাশনাল ক্রিকেটারদের সাথে ক্লাস করার সুযোগ, আইএলটিএস সম্পন্ন করে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পুরণের নিশ্চয়তা নিয়েই কোর্সটির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে খেলোয়াড়েরা খেলার পাশাপাশি ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে গড়ে উঠে ও আন্তর্জাতিকভাবে মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে যথাযথভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
অনুষ্ঠানে উদবোধনী বক্তব্য রাখেন ক্রিকেট এনালিস্ট ও আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার সৈয়দ আবিদ হোসাইন সামি। আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় মো: আল আমিন হোসেন, রনি তালুকদার, মাহিদুল ইসলাম অংকন, আলিস আল ইসলাম, মারুফ মৃধা, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, রবিউল হক সহ আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়দের পাশাপাশি ঘরোয়া পর্যায়ের অনেক খেলোয়াড়।
সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির পক্ষে সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মাননীয় উপাচার্য প্রোফেসর শামীম আরা হাসান এবং গ্লোবালএডের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পরিচালক লায়ন মীর আব্দুল আলীম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো: আবু হানিফ, মেহেরাব হোসেন জোসি, মাহমুদুল হাসান প্রধানসহ স্পোকেন ইংলিশ কোর্সের শিক্ষকগণ ও অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
মাঠে ও মাঠের বাইরে তাঁকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনায় মুখর সবাই। জাতীয় দলে ফিরবেন কিনা, বিপিএলে খেলবেন কিনা এতসব প্রশ্নের ভিড়েই পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ড্রাফটে নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। পিএসএল তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে সাকিবের ড্রাফটে নাম তোলার খবর।
বুধবার(২৫ ডিসেম্বর) নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পিএসএল বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের ভিডিও পোস্ট করে। “বাংলাদেশের তারকা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান পিএসএল ড্রাফটে নাম লিখিয়েছেন।”- এই ক্যাপশনে পোস্ট করে পিএসএল।
বেশ কয়েকবারই পিএসএলে অংশগ্রহণ করেছেন সাকিব। পেশোয়ার জালেমি ও লাহোর কালান্দার্সের জার্সিতে মাঠ মাতাতে দেখা গেছে সাকিবকে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত পিএসএলে সাকিব খেলেছেন ১৩ ম্যাচ। ১৬ গড়ে করেছেন ১৮০ রান। বল হাতে ৭.৩৯ উইকেটে নিয়েছেন ৮ উইকেট।
আগামী ৮ এপ্রিল পাকিস্তানে শুরু হবে এবারের পিএসএল। লাহোর কালান্দার্স বনাম ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পিএসএলের ১০ম আসর। ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৯ মে, করাচির ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামে।
ফাইনালে লক্ষ্যটা বেশ বড়ই দিয়েছিল করাচি ল’ইয়ার্স। তারপরও অবশ্য হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। মুহাম্মেদ আবদুল্লাহর কল্যাণে করাচির দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য এক বল আর পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জিতে নিয়েছে লাহোর।
পঞ্চম উইকেটে মুজাফ্ফর হুসাইনের সঙ্গে ১০৫ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে ম্যাচ জেতান তিনি। প্রায় ২০০ স্ট্রাইকরেটে সমান ৫ চার ও ছয়ে খেলেন ৭৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তার এই বিধ্বংসি ইনিংসই মূলত জয়ের ভীত গড়ে দিয়েছে লাহোরের। আবদুল্লাহকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছিলেন মুজাফ্ফর। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারলেও ঠিকই তুলে নেন অর্ধশতক।
এর আগে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিং করে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে করাচি।দলের হয়ে দুটি ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন আসাদ আব্বাসি (৩৩*) ও মুহাম্মেদ উমের (৩৪)।
গত ২০ ডিসেম্বর ছয় দল নিয়ে পর্দা উঠে ল’ইয়ার্স কাপের। যেখানে পাকিস্তানের দল দুটির বাইরে বাংলাদেশ থেকে খেলেছে ৪ দল। তারা হচ্ছে- ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট।তবে বাংলাদেশের কোনো দলই পাকিস্তানের দল দুটিকে টপকিয়ে ফাইনালের টিকেট কাটতে পারেনি। তাই বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দর্শক হয়েই ফাইনাল খেলা দেখতে হয়েছে বাংলাদেশের চার দলকে।
টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আইনজীবী ক্রিকেট, টি স্পোর্টস এবং এইস যৌথভাবে।
বক্সিং ডে’ টেস্টের আলোয় ঝলমল করছেন ১৯ বছরের তরুণ স্যাম কনস্টাস। তারচেয়ে ১৭ বছরের বড় ভিরাট কোহলি’র ধাক্কা সামলে উজ্জ্বল তিনি এখন। কোহলি সমালোচিত হচ্ছেন, আর কনস্টাস প্রশংসায় ভাসছেন তাঁর অনবদ্য ৬০ রানের ইনিংসের জন্য। এই তরুণ যে আনপ্লেয়বল জাসপ্রীত বুমরাহ’র এক ওভারে নিয়েছেন ১৮ রান। বুমরাহকে টেস্ট ক্রিকেটে প্রায় তিন বছর এবং ৪ হাজার ৪৮৩ বল পর ছয় হজমের তিক্ততা উপহার দিয়েছেন সিডনি থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার।
ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ের পর থেকেই অস্ট্রেলিয়া ওপেনিংয়ে ভাল করতে পারছিল না! এমনকি মিডল-অর্ডার স্টিভেন স্মিথকে পর্যন্ত ঐখানে চেষ্টা করা হয়েছিল। ন্যাথান ম্যাকসুয়েইনি যখন ব্যর্থ হয়েছেন তখন স্যাম কনস্টাসের ওপর ভরসা করেছেন নির্বাচকরা, তার প্রতিদান তিনি দারুণ দিয়েছেন। মেলবোর্নে খেলেছেন ৬৫ বলে ৬০ রানের ইনিংস।
আরও পড়ুন
১৬ মাস পর ভিরাট কোহলির টেস্ট সেঞ্চুরি |
মাঠে নেমেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একটা রেকর্ড গড়েছেন কনস্টাস। মাত্র ১৯ বছর ৮৫ দিন বয়সে টেস্ট খেলতে নেমে হয়ে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ওপেনিং ব্যাটার। এরপর তো রীতিমত এক স্বপ্নের ইনিংস খেলেছেন তিনি। টেস্টে জাসপ্রীত বুমরাহকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওভার উপহার দিয়েছেন। ১ ছক্কা ও ২ চারে নিয়েছেন ১৮ রান। টেস্ট অভিষেকে কোনো অস্ট্রেলিয়ানের তৃতীয় দ্রুততম অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন মাত্র ৫২ বলে।
তবে সাফল্যের কারণেই হোক, আর তাঁর তারুণ্যের কারণে হোক প্রথম সেশনের খেলা শেষে টিভিতে সাক্ষাৎকার দেন কনস্টাস। কোহলি তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার, কেন হঠাৎই মাঠের মাঝে তাঁর সাথে ঝগড়া লাগলো? কেন সে তাকে ধাক্কা দিল? উত্তরে কনস্টাসকে দারুণ হিসেবি মনে হয়েছে,
‘আসলে আমরা দু’জনেই তখন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। আমি ঠিক জানি না কি হয়েছিল! তখন নিজের গ্লাভস ঠিক করছিলাম। তার পরেই কাঁধে ধাক্কা খেলাম। তবে এ রকম হতেই পারে। এটাই ক্রিকেট।’
আরও পড়ুন
কোহলির সাথে পাল্লা দেয়া ঠিক হবে না, অস্ট্রেলিয়ানদের সতর্ক করলেন ক্লার্ক! |
এই ঘটনায় সুনীল গাভাস্কার দু’জনের দায় দেখলেও, রিকি পন্টিং মনে করছেন ভিরাট কোহলি ইচ্ছা করেই ধাক্কাটা দিয়েছেন কনস্টাসকে। বিশেষ করে যেভাবে কোহলি পিচের দিকে হেঁটে আসছিলেন তাতে দায়টা তাকেই নিতে হবে বলে মনে করেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক।